বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নওগাঁর মাটির প্রাসাদ
রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় মাটির প্রাসাদ। এটি অবস্থিত নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলায়। মাটির প্রাসাদটিতে একশত আট কক্ষ আছে। এই প্রাসাদটি দ্বিতল বিশিষ্ট হলেও এখানে নেই কোন ইট বা সিমেন্টের ব্যবহার করা হয় নাই। ১৯৮৬ সালে ২১ (একুশ) বিঘা বা ৭ (সাত) একর জমির উপর মাটির প্রাসাদটি নির্মাণ করা হয়েছে।
পরিচ্ছেদ সূচী- বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় (নওগাঁর) মাটির প্রাসাদ
- ভূমিকা
- অবস্থান
- বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নওগাঁর মাটির প্রাসাদ
- মাটির প্রাসাদ নির্মাণ কৌশল
- মাটির প্রাসাদের বিবরণ
- শেষকথা
ভূমিকা
মাটির এই প্রাসাদটি নওগাঁ জেলার সবচেয়ে কাছের উপজেলা মহাদেবপুর অবস্থিত দেশের সবচেয়ে বড় মাটির প্রাসাদ। মাটির প্রাসাদটিতে মোট কক্ষ আছে ১০৮ (একশত আট) টি। প্রাসাদটি দ্বিতল বিশিষ্ট হলেও এখানে কোন প্রকার ইট বা সিমেন্টের ব্যবহার করা হয় নাই। ১৯৮৬ সালে ২১ (একুশ) বিঘা বা ৭ (সাত) একর জমির উপর মাটির প্রাসাদটি নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান - বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত স্থান
অবস্থান
নওগাঁ জেলার সবচেয়ে কাছের উপজেলা মহাদেবপুর উপজেলার ইউপি চেরাগপুরের আলিপুর গ্রামে মাটির প্রাসাদটি অবস্থিত। উপজেলা সদর হতে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মাত্র ১১ (এগারো) কিলোমিটার দূরে মাটির প্রাসাদটি অবস্থিত।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নওগাঁর মাটির প্রাসাদ
মাটির প্রাসাদটি ১৯৮৬ সালে মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়। সমশের আলী মণ্ডল তার আপন ভাই তাহের আলী মণ্ডল মাটির প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। তারা আপন দুইজনে সহোদর ভাই। প্রসাদটি তৈরি করেছিলেন তারা সখের বসে। বিভিন্ন গ্রামের প্রায় শতাধিক কারিগরের সমন্বয়ে এই দ্বিতল প্রাসাদটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাসাদটি নির্মাণ করতে প্রায় ৯ মাস সময় লেগেছিল। তবে এই প্রাসাদটি সম্পূর্ণ করতে প্রায় এক বছর সময় লেগেছিল।
মাটির প্রাসাদ নির্মাণ কৌশল
প্রসাদের দেয়ালে ইট বা সিমেন্টের ব্যবহার না হবার কারণে বিশেষভাবে তৈরি করতে হয়েছে এই প্রাসাদ। কারণ প্রতিবারে মাটির দেয়াল এক বা দেড় ফুটের বেশি উঁচু করা কোনভাবেই সম্ভব ছিল না। একবার দেয়াল দেওয়ার পর শুকিয়ে যাবার জন্য কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল। শুকিয়ে গেলে আবার তার ওপর একই উচ্চতার দেয়াল তৈরি করা হয়েছিল।
এভাবে দোতলা বাড়িটির বিশ/বাইশ ফুট উঁচু দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছিল। আবার এয় দেয়ালের স্থায়িত্ত বাড়ানো ও এর সৌন্দর্য বাড়াতে এতে চুন ও আলকাতরার ব্যবহার করা হয়েছিল।
মাটির প্রাসাদের বিবরণ
মাটির প্রাসাদটি একুশ বিঘা এলাকা জুড়ে অবস্থিত। প্রাসাদের দৈর্ঘ্য প্রায় তিনশত)ফিট ও প্রস্থ প্রায় একশত ফিট। প্রাসাদে প্রবেশের জন্য সাতটি দরজা আছে। যেকোনো একটি দিয়ে প্রবেশ করলেই ১০৮ টি কক্ষে যাওয়া যাবে। মাটির প্রাসাদটিতে কোন ইট, সিমেন্ট, বালি ও রড ব্যবহার করা হয় নাই। প্রাসাদে ছিয়া নব্বইটি বড় কক্ষ ও বারটি ছোট কক্ষ মিলে মোট একশত আটটি কক্ষ আছে।
প্রতিটি কক্ষে একাধিক দরজা আছে। কোন কোন কক্ষে চার/পাচ টি দরজা রয়েছে। প্রাসাদের প্রাচীর বিশ- ত্রিশ ইঞ্চি চওড়া। প্রাসাদের প্রাচীর তৈরি করা হয়েছে মাটি পানি দিয়ে ভিজিয়ে কাদায় পরিণত করে। দোতলায় ওঠার জন্য তেরো টি সিঁড়ি আছে। প্রাসাদের পিছনের দিকের এলাকা থেকে বাড়ি নির্মাণের মাটি সংগ্রহ করা হয়। প্রচুর মাটির নেওয়ার ফলে সেইখানে বিশাল আকারের পুকুর তৈরি হয়েছে। বাড়িটিতে ছাউনি দিবার জন্য প্রায় দুইশত বান্ডেল টিন লেগেছে।
আরও পড়ুনঃ ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার করার নিয়ম
শেষকথা
ঠিক আছে, দেখাযা্ক আগামী আর্টিকেলে কি থাকছে?
তবে বাইক নিয়ে ভ্রমণে বের হলে সব সময় নিজের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখুন। ভালো মানের হেলমেট এবং সেফটি গার্ড ব্যবহার করুন। সব সময় নিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক রাইড করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url