সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র কয়টি - সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেখক কে
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র কয়টি? অনেকের বিষয়গুলো অজানা। বিশেষ করে যারা এই নাটক দেখেছে সাধারণত তারা সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র কয়টি? বলতে পারবে আবার অনেকেই ভুলে গিয়েছে। আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলে সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র কয়টি? এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আপনি যদি শুরু হতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তবে অবশ্যই সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র কয়টি? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র কয়টি? বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র কয়টি - সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেখক কে
- সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র কয়টি
- সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেখক কে
- সিরাজউদ্দৌলা নাটকের প্রশ্ন উত্তর
- সিরাজউদ্দৌলা নাটকের ঘসেটি বেগম চরিত্র
- উপসংহার
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র কয়টি
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের অনেকগুলো চরিত্র ছিল। সাধারণত এই চরিত্র গুলোর মধ্যে অনেকেই ছিল নবাব সিরাজউদ্দৌলার পক্ষে আবার অনেকেই ছিল বিপক্ষে। যেহেতু এটি একটি বাংলার গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস তাই আমাদের সকলের সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র কয়টি? এ বিষয়ে জেনে রাখা উচিত। তাহলে চলুন সিরাজউদ্দৌলা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব - ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়
আলিবদ্দি খাঁ -- বাংলা বিহার এবং উড়িষ্যার নবাব ছিলেন তিনি। তার প্রকৃত নাম ছিল মির্জা মোহাম্মদ আলী। তিনি ছিলেন বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলা এর নানা।
আমিনা বেগম -- নবাব মির্জা মোহাম্মদ আলী এর কনিষ্ঠ কন্যা ছিলেন তিনি। অর্থাৎ তিনি ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা এর মাতা। তার আরো দুজন পুত্র সন্তান ছিল।
সিরাজউদ্দৌলা -- এ নাটকের প্রধান চরিত্র হলো সিরাজউদ্দৌলা চরিত্র। পিতার নাম ছিল জয়নুদ্দিন এবং মাতার নাম ছিল আমিনা বেগম। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৭৩৩ সালে এবং সিংহাসনে বসেন ১৭৫৬ সালে এর পরবর্তী বছরই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাকে হত্যা করা হয়।
লুৎফুন্নেসা -- তিনি ছিলেন বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলা এর স্ত্রী। তার পিতার নাম ছিল ইরিচ খান। নবাবের মৃত্যুর পরে মিরন তাকে বিয়ে করতে চায় কিন্তু তিনি বলেন আমি চিরকাল হাতির পিঠে চড়ে বেরিয়েছি সেই আমি কিভাবে একটি গাধার পিঠে চড়ে বাড়াবো।
মোহনলাল -- নবাব সিরাজউদ্দৌলার একমাত্র বিশ্বস্ত সেনাপতি ছিলেন তিনি। বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধে তিনি সেনাপতি দায়িত্ব পালন করেন। ইংরেজদের গুলিতে তিনি হত্যা হয়েছিলেন।
ঘসেটি বেগম -- ঘসেটি বেগম ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলার খালা। তার প্রকৃত নাম ছিল মেহেরুন্নেসা। নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে ক্ষমতা থেকে নামানোর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
ওয়ালি খান -- তিনি ক্যাপ্টেন ক্লেনটনকে যুদ্ধ বন্ধ করতে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি ইংরেজদের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন এবং তিনি নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিপক্ষে ছিলেন।
মীরজাফর -- মীরজাফর এর প্রকৃত নাম হল জাফর আলী খান। তিনি ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রধান সেনাপতি। তিনি ছিলেন নবাবকে ক্ষমতার যুদ্ধ করার প্রধান হাতিয়ার অর্থাৎ প্রধান পরিকল্পনাকারী।
মিরন -- যিনি নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করেন এবং তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন মীরজাফর এর পুত্র ছিলেন মিরন। মোহনলাল এর গুপ্তচর তার জীবন অতিষ্ঠ করে ফেলে।
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেখক কে
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র কয়টি? এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছেন। কিন্তু আপনারা কি সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেখক কে? এ বিষয় সম্পর্কে জানেন। আমার মনে হয় বেশিরভাগ মানুষ এ বিষয়টি সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখেনা। সাধারণত আমরা নাটক দেখার কাজ দেখতে ভালো লাগে তাই দেখি কিন্তু এই সুন্দর নাটকগুলো কে লেখে এ বিষয় সম্পর্কে আমাদের তেমন কোনো মাথাব্যথা থাকে না।
এখন আপনাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেখক কে? আশা করি আপনি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না। সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেখক হলো সিকান্দার আবু জাফর। তিনি একজন নামকরা লেখক ছিলেন তিনি ১৯১৯ সালে ৩১ মার্চ সাতক্ষীরা জেলার তেতুলিয়া গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এই নাটক ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি নাটক রচনা করেন।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার ৩০টি সেরা উপায়
তিনি কলকাতায় পড়াশোনা করেন কিন্তু যখন দেশ বিভক্ত হয়ে যায় সাধারণত তখন তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় এসে তিনি সাহিত্য চর্চার দিকে মনোনিবেশ করেন। তিনি তার জীবনের একটা বড় সময় ধরে সাংবাদিকতা করেন। ঢাকায় এসে তিনি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সম্পাদক হিসাবে বেশ কিছুদিন কাজ করেন। আশা করি সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেখক কে? তা জানতে পেরেছেন।
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের প্রশ্ন উত্তর
বিভিন্ন সময় সিরাজউদ্দৌলা নাটক থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয় সাধারণ জ্ঞান হিসেবে। আমরা যদি এই প্রশ্নগুলো জেনে রাখতে পারি সাধারণত তাহলে খুব সহজেই এর উত্তর দিতে পারব। কারণ বাংলাদেশের যে সকল জনপ্রিয় নাটক রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সিরাজউদ্দৌলা নাটক। কমবেশি এ নাটক সম্পর্কে সবার জানা রয়েছে।
১। সিরাজউদ্দৌলার হত্যাকারীর নাম কি?
উত্তরঃ নবাব সিরাজউদ্দৌলার হত্যাকারী হল মোহাম্মদি বেগ
২। রবার্ট ক্লাইভ কাকে সেরা বিশ্বাসঘাতক বলেছেন?
উত্তরঃ উমিচাঁদকে সেরা বিশ্বাসঘাতক বলেছেন।
৩। ঐতিহাসিক পলাশী যুদ্ধ কোন নদীর তীরে হয়েছিল?
উত্তরঃ ঐতিহাসিক পলাশীর যুদ্ধ গঙ্গা নদীর তীরে হয়েছিল।
৪। উমিচাঁদ কোথা থেকে এসেছিলেন?
উত্তরঃ তিনি লাহোর থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
৫। সিরাজউদ্দৌলার কোন সেনাপতি যুদ্ধে প্রথম মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তরঃ মিরমদান যুদ্ধে প্রথম মৃত্যুবরণ করেন।
৬। সিরাজউদ্দৌলা নাটকের শেষ সংলাপ কার?
উত্তরঃ সিরাজউদ্দৌলা নাটকের শেষ সংলাপ হল মোহাম্মদি বেগের
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের ঘসেটি বেগম চরিত্র
আমরা যারা সিরাজউদ্দৌলা অর্থাৎ বাংলার শেষ নবাব এর ঘটনা শুনেছি সাধারণত তারা একটি নাম সবাই শুনে থাকবে সেটি হল ঘসেটি বেগম। তবে আমরা অনেকেই এই নাটকের ঘসেটি বেগম চরিত্র সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখিনা। এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র কিন্তু তিনি বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার অনেক ক্ষতি করেছিলেন।
ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ হাত ছিল তার নিজের খালা ঘসেটি বেগমের। কিন্তু তিনি ছিলেন এই নাটকের একজন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তিনি ভেবেছিলেন সুখে শান্তিতে জীবন যাপন কাটাবেন কিন্তু তার জীবনের শেষ অংশ গুলো কেটেছিল ঢাকার একটি প্রাসাদের বন্দী অবস্থায়।
কারণ তিনি পলাশী যুদ্ধের সময় নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ইংরেজ এবং তার প্রধান সেনাপতি মীরজাফর এর সাথে ষড়যন্ত্রের লিপ্ত হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্রের ফলাফল হিসেবে তারা এবং নবাবকে ক্ষমতাকৃত করেন এবং তাকে হত্যা করেন। সাধারণত এর ফলাফল হিসেবে তিনি বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেন। ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বাংলার মানুষ এখনো তাকে ঘৃণা করে।
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র কয়টি - সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেখক কেঃ উপসংহার
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র কয়টি? সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেখক কে? সিরাজউদ্দৌলা নাটকের ডাইরেক্টর, সিরাজউদ্দৌলা নাটকের ঘসেটি বেগম চরিত্র সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু আমরা অনেকেই এই নাটক দেখেছি এবং এই নাটক সম্পর্কে জানি কেউ তো অবশ্যই আমাদেরকে বিষয়গুলো জেনে রাখতে হবে। আমার প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট - অনলাইন ইনকাম সাইট ২০২৩
আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানে শেষ করছি।
এই নাটক আমার খুব পছন্দের