ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করার নিয়ম
ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করার নিয়ম আপনি কি জানতে চান তাহলে পোস্টটি আপনার জন্য। আজ আমি এই পোস্টে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। তাহলে আপনি ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করার নিয়ম ভালোভাবে জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
কিভাবে আপনি ফেসবুক মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করবেন? এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া হতে পারে, কারণ ফেসবুক ডিএক্টিভ করলেও মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ হয় না। তাই দুইটা অ্যাপস আলাদা আলাদা ভাবে ডিএক্টিভ করতে হয়। এ জন্য আপনাকে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করার নিয়ম ভালোভাবে জানতে হবে।
সূচিপত্রঃ ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করার নিয়ম
- আপনি কি ফেসবুক ডিএক্টিভ করে মেসেঞ্জার রাখতে পারেন?
- ফেসবুক ডিএক্টিভ করার নিয়ম
- মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করার নিয়ম
- মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করলে কি হয়?
- যখন আপনার অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করা হয়
- ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করা এবং ডিলিট করার মধ্যে পার্থক্য কী?
- ফেসবুক ডিএক্টিভ করার সুবিধা ও অসুবিধা
- শেষ কথা
আপনি কি ফেসবুক ডিএক্টিভ করে মেসেঞ্জার রাখতে পারেন?
হ্যাঁ, আপনি Facebook ডিএক্টিভ করার পরও মেসেঞ্জারের সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস পেতে পারেন বা চালাতে পারেন৷ আপনি ফেসবুক ছাড়াও মেসেঞ্জার চালাতে, কথা বলতে পারেন। এর জন্য আপনার ফেসবুক প্রোফাইল স্থায়ীভাবে ডিলিট করা যাবে না, তবে আরেকটি উপায় সিলেক্ট করুন, সেটা হল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করুন। আপনি যদি Facebook ডিএক্টিভ করে মেসেঞ্জার ব্যবহার করা চালিয়ে যান, তাহলে এটা নিশ্চিত করুন যে আপনি Facebook-এ আপনার privacy সেটিংস কীভাবে পরিবর্তন করবেন আর নিয়মিত আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপদ রাখতে চেষ্টা করুন।
ফেসবুক ডিএক্টিভ করার নিয়ম
মোবাইলে আপনার Facebook অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করতে, সরাসরি Facebook অ্যাপে যান এবং অ্যাপটি ওপেন করুন৷ Facebook ডিএক্টিভ করতে মাত্র কয়েক ধাপ লাগে তাই ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করার নিয়ম এর মধ্যে ফেসবুক ডিএক্টিভ করার নিয়ম বেশি সহজ। আপনার মোবাইল ফোনে Facebook ডিএক্টিভ করা আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করতে পারে। নিচে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করার নিয়ম এর মধ্যে ফেসবুক ডিএক্টিভ করার নিয়ম টা দেখে নিন।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক থেকে আয় ২০২৩ - ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়
আপনার মোবাইলে Facebook অ্যাপটি ওপেন করুন
আপনার প্রোফাইল থেকে ওপরে বাম দিকের মেনু বার থেকে Settings & privacy ক্লিক করুন
তারপর Settings অপশন থেকে Access and control অপশনে আলতো ভাবে চাপুন বা ক্লিক করুন
এরপর Deactivation and deletion বাটন সিলেক্ট করার পর ক্লিক করুন।
Deactivation and deletion অপশনে ক্লিক করলে আপনি Deactivate account অপশনটি দেখতে পাবেন তাতে ক্লিক করুন।
সবশেষে ফেসবুক ডিএক্টিভ সফল হওয়ার জন্য বা নিশ্চিত করতে আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় লিখুন।
ফেসবুক ডিএক্টিভ করতে আপনি মোবাইল, ব্রাউজার ও কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন। তবে বেশির ভাগ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে মোবাইলে। তাই ফেসবুকের অনেক কাজ মোবাইল দিলেই করা হয়। তাই আজ আমি মোবাইল ব্যবহার করে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করার নিয়ম জানাবো।
মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করার নিয়ম
আপনি মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করার আগে, আপনাকে আপনার Facebook অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করতে হবে। আমরা উপরে ব্যাখ্যা করেছি কিভাবে আপনার Facebook অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করতে হয়। আপনি যদি আপনার মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করতে চান তাহলে আগে আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করে নিন। তারপর নিচের ধাপ অনুসারে মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করার নিয়ম গুলো দেখে নিন।
আরো পড়ুনঃ ৩০টি অনলাইন থেকে আয় করার উপায় ২০২৩
- প্রথমে মেসেঞ্জার অ্যাপটি ওপেন করুন
- স্ক্রিনের উপরের বাম কোণায় আপনার প্রোফাইল ছবি বা মেনুতে আলতো ভাবে ক্লিক করুন
- নিচে স্ক্রোল করুন সেখানে যদি না পান তাহলে সেটিংস থেকে Legal and Policies অপশন সিলেক্ট করুন
- এর পরবর্তী স্ক্রিনে, Deactivate Messenger অপশনটি সিলেক্ট করুন
- এরপর আপনার পাসওয়ার্ড লিখুন
- তারপর Continue বাটনে ক্লিক করুন
Facebook Messenger আবার পুনরায় অন করতে, আপনার ইউজার নাম এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে মেসেঞ্জার অ্যাপে আবার লগ ইন করুন। এছাড়াও, মনে রাখবেন যে আপনি আপনার Facebook অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করার পর আবার ওপেন করতে পারবেন।
মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করলে কি হয়?
আপনি যদি Messenger ডিএক্টিভ করেন তাহলে আপনি যতদিন আবার অ্যাক্টিভ না করেন ততদিন আপনি এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না। আবার কেউ অ্যাপে আপনার প্রোফাইল দেখতে বা আপনি কারো সাথে কথা বার্তা বা চ্যাট করতে পারবেন না। আপনি যদি আবার মেসেঞ্জার অ্যাক্টিভ করতে চান তাহলে আপনার প্রধান Facebook অ্যাকাউন্টও আবার অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে।
আপনি যদি শুধুমাত্র মেসেঞ্জার অ্যাপটি ব্যবহার করতে চান বা রাখতে চান তবে আপনাকে আবার শুধু আপনার Facebook অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করতে হবে। তবে একটা কথা মনে রাখবেন যে আপনি যদি আপনার Facebook অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণরূপে ডিলিট করে ফেলেন তবে আপনি মেসেঞ্জারেও অ্যাক্সেস হারাবেন। দুঃখের বিষয়, ফেসবুক প্রোফাইল বা অ্যাপ মেইনটেইন না করে মেসেঞ্জার রাখার কোন উপায় নেই।
যখন আপনার অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করা হয়
- অন্য কেউ আপনার প্রোফাইল দেখতে পারবে না
- কিছু তথ্য, যেমন আপনি আপনার ফ্রেন্ডের কাছে পাঠানো এসএমএস অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করার পরও দেখতে পাবে।
- আপনার ফ্রেন্ডরা এখনও তাদের ফ্রেন্ডের তালিকায় আপনার নাম দেখতে পারে। তবে এটি শুধুমাত্র আপনার ফ্রেন্ডরাই দেখতে পাবে৷
- আবার আপনি কোনো গ্রুপ এ জয়েন থাকলে সেই গ্রুপ অ্যাডমিনরা এখনও আপনার নাম সহ আপনার পোস্ট এবং কমেন্ট দেখতে পেতে পারে।
- আপনি অনেক ধরণের তথ্য অ্যাক্সেস করতে আপনার Facebook অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন না।
যে পেজগুলি শুধুমাত্র আপনি নিয়ন্ত্রণ করেন সেগুলিও ডিএক্টিভ করা হবে৷ যদি আপনার পেজ ডিএক্টিভ করা হয়, লোকেরা আপনার পেজটি দেখতে পাবে না বা যদি কেউ এটি সার্চ করে তবে আপনার পেজটি খুঁজে পাবে না৷ আপনি যদি আপনার পেজ ডিএক্টিভ করতে না চান তবে আপনি অন্য কাউকে আপনার পেজের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দিতে পারেন৷ তারপর আপনি পেজ ডিএক্টিভ না করে আপনার অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করতে পারবেন।
মনে রাখবেন যে আপনি যদি মেসেঞ্জার অ্যাক্টিভ রাখতে চান এবং আপনার Facebook অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করার সময় মেসেঞ্জারে লগ ইন করেন, তাহলে মেসেঞ্জার অ্যাক্টিভ থাকবে। ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ডিএক্টিভ করার নিয়ম ভালোভাবে জেনে নিয়ে এই সব কাজ করুন।
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করা এবং ডিলিট করার মধ্যে পার্থক্য কী?
একটি Facebook অ্যাকাউন্ট ডিএক্টিভ করা মানে এটি সাময়িকভাবে বা কিছুদিনের জন্য মুছে ফেলা। আর একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করা মানে এটি স্থায়ীভাবে মুছে ফেলা। আপনি যদি Facebook ডিএক্টিভ করেন তাহলে এটি আবার আপনি অ্যাক্টিভ করতে পারেন। তবে আপনি যদি Facebook ডিলিট করে ফেলেন তাহলে আপনার ডেটা মুছে যাবে এবং এটা আপনি আর অ্যাক্টিভ করতে পারবেন না।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করা হয় - মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং
যদি এরকম হয় আপনি জাল খবর দেখে ক্লান্ত, বিরক্ত, অথবা সোশ্যাল মিডিয়াতে ওভারশেয়ারিং বন্ধ করতে চান৷ অথবা আপনার Facebook অ্যাকাউন্টে বিরতি দেওয়ার কারণ যাই হোক না কেন, Facebook ডিএক্টিভ করতে পারেন, তবে আপনি যদি আপনার অ্যাকাউন্ট একেবারেই না চান তাহলে ডিলিট করতে পারেন।
ফেসবুক ডিএক্টিভ করার সুবিধা ও অসুবিধা
- ফেসবুক ডিএক্টিভ করলেও মেসেঞ্জার আপনি রাখতে পারেন এবং ব্যবহার করতে পারেন
- আপনি যখনই চান আপনার Facebook অ্যাকাউন্ট পুনরায় অ্যাক্টিভ করতে পারেন
- এটি আপনার অ্যাকাউন্টের ফটো, বন্ধু এবং পোস্টগুলি লুকানোর একটি অস্থায়ী উপায়৷
অসুবিধাঃ
- আপনার সব ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলা হয় না
- আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরায় অ্যাক্টিভ না করা পর্যন্ত ফেসবুকের অনেক কিছু ব্যবহার করতে পারবেন না
- আবার আপনি পুনরায় ফেসবুক অ্যাক্টিভ করলে, আপনি আবার Facebook স্ক্যামের ঝুঁকিতে থাকবেন
এটা অনেক লোক জানেনা