বাছাই করা খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প
বাছাই করা খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প ও সেরা ভালোবাসার গল্প সম্পর্কে আপনি কি জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আজ এই পোস্টে আমি বাছাই করা খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প ও সেরা ভালোবাসার গল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। তাহলে আপনি বাছাই করা খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প ও সেরা ভালোবাসার গল্প জানতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আমরা সকলেই ভালোবাসার সুন্দর অনুভূতি অনুভব করেছি যা আমাদের জীবনের কখনও না কখন গতিপথ পরিবর্তন করেছে। কিছু কিছু ভালোবাসার গল্প ইতিহাস গড়েছে। ততাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কষ্টের ভালোবাসার গল্প ও সেরা ভালোবাসার গল্প।
সূচিপত্রঃ বাছাই করা খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প
- বাছাই করা খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প
- শাহজাহান এবং মুমতাজ - ভারতের ভালোবাসার পরিচিত দম্পতি
- সেলিম এবং আনারকলি- অমর প্রেমের গল্প
- বাজিরাও এবং মাস্তানি- কষ্টের ভালোবাসার গল্প
- শেষ কথা
বাছাই করা খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প
একটা ছেলে ও মেয়ে দুইজনকে দুজন খুব ভালোবাসে। কিন্তু মেয়েটির পরিবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি ছিল এবং তাদের দিতে রাজি হয় না তাদের মেয়েকে বলে তার সাথে বিয়ে হলে সে সুখী থাকবে না। তাই পরিবারের চাপের কারণে দুইজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হয়। যদিও মেয়েটি ছেলেটিকে গভীরভাবে ভালবাসে, তবে সে সর্বদা তাকে জিজ্ঞাসা করে আমার প্রতি তোমার ভালবাসা কতটা গভীর?
যেহেতু ছেলেটি তার কথায় ভাল নয়, তাই এটি প্রায় মেয়েটিকে খুব বিরক্ত করে। এতে এবং পরিবারের চাপে মেয়েটি প্রায়ই তার উপর রাগ করে। কিন্তু ছেলেটি এসব নীরবে সহ্য করে। কয়েক বছর পর, ছেলেটি শেষ পর্যন্ত স্নাতক ডিগ্রি পায় এবং বিদেশে যেতে চায় তার পড়াশোনা আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য। যাওয়ার আগে, ছেলেটি মেয়েটিকে প্রস্তাব দিয়েছিল আমি কথায় খুব একটা ভালো নই। কিন্তু আমি শুধু জানি আমি তোমাকে ভালোবাসি। যদি তুমি আমাকে অনুমতি দাও, আমি সারাজীবন তোমার যত্ন নেব। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব তোমার পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের মানানোর। তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?"
মেয়েটি রাজি হয়েছিল, এবং মেয়েটির পরিবার অবশেষে তাদের বিয়ে করতে রাজি হয়েছিল। তাই ছেলেটি চলে যাওয়ার আগেই তাদের বাগদান হয়ে যায়। মেয়েটি কাজ করা শুরু করে, যেখানে ছেলেটি বিদেশে ছিল, পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল। তারা ইমেল এবং ফোন কলের মাধ্যমে তাদের ভালবাসা চালিয়ে যাচ্ছিল। যদিও এটা কঠিন, কিন্তু দুজনেই কখনো হাল ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবেনি।
একদিন, মেয়েটি যখন কাজ করতে যাচ্ছিল, তখন একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার সাথে খুব খারাপ এক্সিডেন্ট হয়। মেয়েটির হুঁশ আসলে বিছানার পাশে বাবা-মাকে দেখতে পান। সে নিজেও বুঝতে পেরেছিল যে সে গুরুতর আহত হয়েছে। মাকে কাঁদতে দেখে তাকে সান্ত্বনা দিতে চাইল। কিন্তু সে কোনো কথা বলতে পারলো না। সে তার কণ্ঠস্বর হারিয়ে ফেলেছে।
আরো পড়ুনঃ বৃষ্টি নিয়ে রোমান্টিক কবিতা - বৃষ্টি নিয়ে রোমান্টিক স্ট্যাটাস
ডাক্তার বলেছেন যে তার মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে সে তার কণ্ঠস্বর হারিয়েছে। সে তার বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিতে চায় কিন্তু তার কাছ থেকে কিছু বের না হওয়ায় সে ভেঙে পড়ে। হাসপাতালে থাকার সময় নীরব ভাবে কান্নাকাটি করেছে। বাসায় পৌঁছে মনে হয় সবকিছু আগের মতোই আছে। ফোনের রিং টোন বাদে। যা প্রতিবার বেজে ওঠে তার হৃদয়ে। সে ছেলেটিকে জানাতে চায় না তার এই সব সম্পর্কে এবং সে তার বোঝা হতে চায়না তাই মেয়েটি ছেলেটির কাছে একটা চিঠি লিখে জানিয়ে দেয় যে সে আর অপেক্ষা করতে পারবেনা।
এর সাথে, সে তাদের বাগদানের আংটিটি ফেরত পাঠিয়েছিল। এরপর ছেলেটি এসব দেখে মেয়েটিকে অনেক কল করে, চিঠি পাঠায় এবং বার বার কল করতেই থাকে কিন্তু মেয়েটি সুধু কেঁদেই যায়। বাবা-মা তাকে নিয়ে দূরে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এই আশায় যে সে অবশেষে সবকিছু ভুলে যাবে এবং সুখী হবে।
একটি নতুন পরিবেশে, মেয়েটি সাংকেতিক ভাষা শিখেছে এবং একটি নতুন জীবন শুরু করেছে। নিজেকে প্রতিদিন ছেলেটিকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে। একদিন, তার একটি বন্ধু এসে তাকে বলল যে ছেলেটি ফিরে এসেছে। এটা শুনে মেয়েটি তার বন্ধুকে বলে তার সাথে যা ঘটেছে তা যেন সে ছেলেটিকে না জানায়। এরপর থেকে তার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এক বছর কেটে গেছে এবং মেয়েটির সেই বন্ধু একটি খাম নিয়ে তাকে দেয়, যাতে ছেলেটির বিয়ের জন্য একটি আমন্ত্রণপত্র ছিল। মেয়েটি এটি দেখে ভিতর থেকে কষ্টে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল। যখন সে চিঠিটি খুলে দেখলো সে আবার অবাক হয়ে গেলো কারণ মেয়ের জায়গায় তার নিজের নাম দেওয়া আছে। যখন সে তার বন্ধুকে জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিল কি হচ্ছে এগুলা, সে দেখলো ছেলেটি তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
ছেলেটি সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে তাকে বলেছিল আমি সাংকেতিক ভাষা শিখতে এক বছর সময় কাটিয়েছি। শুধু তোমাকে জানাতে যে আমি আমাদের প্রতিশ্রুতি এখনও ভুলে যাইনি। আমাকে তোমার ভয়েস হওয়ার সুযোগ দিও। আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। এর সাথে, সে মেয়েটির আঙুলে আংটিটি আবার পরিয়ে দিল। মেয়েটি অবশেষে হাসি দিয়ে সব মেনে নিল। বাছাই করা খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প এর মধ্যে এটা খুব সেরা গল্প।
শাহজাহান এবং মুমতাজ - ভারতের ভালোবাসার পরিচিত দম্পতি
আমরা সবাই শাহজাহান এবং মুমতাজ এর ভালোবাসার ইতিহাস জানি। শাহজাহান তার স্ত্রী এর ভালোবাসায় তার জন্য তাজমহল তৈরি করেছে। শাহজাহান এবং মমতাজ তাদের সত্যিকারের প্রেমের জন্য পরিচিত সবচেয়ে আইকনিক প্রেম দম্পতি। তার স্ত্রী মমতাজের প্রতি শাহজাহানের চিরন্তন ভালোবাসার কৃতজ্ঞতা তখন থেকেই বিশ্বজুড়ে প্রেমিকদের ভালোবাসার প্রতীক। তাজমহল শুধুমাত্র তার ভালোবাসার কাঠামোর জন্য নয়, এই চিরন্তন দম্পতির বিশুদ্ধ ভালবাসার কারণেও তাজমহল বিশ্বের বিস্ময়গুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়।
সেলিম এবং আনারকলি- অমর প্রেমের গল্প
একজন মুঘল রাজপুত্র সেলিম এবং একজন গণিকা আনারকলি। তাদের এই বিস্তৃত প্রেমের গল্প ভারতজুড়ে বিভিন্ন শিল্পের মাধ্যমে অমর হয়ে আছে। সেলিম এবং আনারকলি যখন দুজনে দুজনকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু তাদের এই ভালোবাসা সেলিমের পিতা সম্রাট আকবর তা মেনে নেননি। তিনি তাদের সম্পর্কে খুশি ছিলেন না।
আরো পড়ুনঃ মেঘলা আকাশ নিয়ে ক্যাপশন - মেঘলা আকাশ নিয়ে কবিতা
সম্রাট আকবর যখন আনারকলি এবং যুবরাজ সেলিমের প্রেমের বিরুদ্ধে ছিলেন, সেলিম তার নিজের পিতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন আনারকলির জন্য। যুদ্ধে সম্রাট আকবর জয়ী হন আর সেলিম হেরে গিয়েছিল। সেলিমকে বাঁচানোর জন্য আনারকলি জীবিত অবস্থায় আত্মহত্যা করেন। যেন পিতা পুত্রের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যায়। তাকে নিয়ে আর যুদ্ধ না হয়।
বাজিরাও এবং মাস্তানি- বাছাই করা খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প
মহান মারাঠা যোদ্ধা পেশওয়া বাজিরাও ছিলেন বিবাহিত। তিনি বিভিন্ন রাজ্যে যুদ্ধ করে বেড়ায় এবং প্রায় সব যুদ্ধ জিতে আসেন। এই যুদ্ধ গুলো করতে বাজিরাও অনেক রাজ্যে যেত এবং অনেক দিন বাড়িতে থাকত না। এভাবে একদিন বাজিড়াও মাস্তানির রাজ্যে গিয়ে মাস্তানির পিতার হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। এই সময় মাস্তানির সাথে বাজিরাও এর দেখা হয়েছিল। তখন মাস্তানির লড়াইয়ের কৌশল দেখে বাজিরাও মুগ্ধ হয়েছিল। তারপর যুদ্ধ শেষে যখন বাজিরাও চলে আসবে তখন বিদায় নেওয়ার সময় তার খান্দানী চাকু মাস্তানিকে দিয়ে আসেন।
কিন্তু তিনি এটা জানেন না যে সেইখানে খান্দানী চাকু একটা মেয়েকে দিলে তাদের বিয়ে হয়ে যায় এইরকম রীতি ছিল। তারপর মাস্তানি বাজিরাও এর বাসায় চলে যায় নিজের অধিকার নিতে। কিন্তু সেখানে কেউ তাকে বাজিরাও এর কাছে যেতে দেয় না এবং মেনেও নেয় না। কারণ বাজিরাও ছিলেন বিবাহিত। তবুও অনেক কষ্ট করে মাস্তানি বাজিরাও এর সাথে কথা বলে এবং তাদের বিয়ে হয়ে গেছে সে সম্পর্কে তাকে জানায়।
তারপর থেকে মাস্তানি সেখানেই থাকে সবার দেওয়া কষ্ট মেনে নিয়ে। সবাই তাকে খুব কষ্ট দিত তাকে মহলের অনেক দূরে খুব খারাপ একটা জায়গায় রেখেছিল। যাইহোক তবুও বাজিরাও ও মাস্তানির প্রেম হয়। বাজিরাও এর স্ত্রী থাকা সত্তেও তিনি মাস্তানির এত কঠোর ভালোবাসা দেখে মাস্তনিকে খুব ভালোবেসে ফেলে। এবং তাদের একটা সন্তান ও হয়। কিন্তু কোনো দিন ও মাস্তানির জায়গা মহলে হয়নি।
আরো পড়ুনঃ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস sms - ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস ছন্দ
এভাবে একদিন বাজিরাও যখন যুদ্ধ করতে অন্য রাজ্যে চলে যায়, তখন মাস্তানিকে সবাই মিলে বন্দী করে নেয় এবং তাকে শিকল দিয়ে বেধে রাখে এবং খাবার পানি দেয় না। সেই যুদ্ধে বাজিরাও অনেক কষ্ট করে জিতেছিলেন কিন্তু তার ভালোবাসার কাছে হেরে গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে মৃত্যুবরণ করেন এবং এইদিকে মাস্তানি সেটা শুনার পর নিজে নিজের জীবন নিয়ে নেয়। তাদের ভালোবাসা এখানেই শেষ হয়ে যায়।
বাছাই করা খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প - শেষ কথা
আপনি কি সত্যিকারের ভালোবাসা বিশ্বাস করেন? বাছাই করা খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প রয়েছে যা আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং আমাদের সত্যিকারের ভালবাসায় বিশ্বাস করতে সাহায্য করে। এই প্রেমিকরা একে অপরকে বিশ্বাস করেছিল এবং ভালবাসার জন্য সারা বিশ্বের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। তাদের গল্প দেখিয়েছে যে সত্যিকারের ভালোবাসা পৃথিবীর অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে শক্তিশালী। ভালোবাসায় মানুষের কোনো হিতাহিত বুদ্ধি থাকেনা। শুধু ভালোবাসার মানুষ ছাড়া আর কিছু চায়না। উপরে আলোচনায় বাছাই করা খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প দেখে নিন। 22498
সুন্দর লাগছে
নতুন গল্প দিন
sundor